,

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আঙ্গিনায় ভাসমান পতিতাদের অভয়ারণ্য

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল আঙ্গিনা হয়ে উঠছে ভাসমান পতিতাদের অভয়ারণ্য। জেলার একমাত্র সর্বোচ্চ চিকিৎসার আশ্রয়স্থল এ হাসপাতালে আসা সেবা প্রত্যাশিরা এ নিয়ে পড়ছেন বিপাকে। কেউ-কেউ আবার সেবা নিতে এতে তাদের খপ্পড়ে হারাচ্ছেন সর্বস্ব। এক শ্রেণীর দালালরা তাদের দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে নিচ্ছেন কমিশন। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে দালাল নির্মূলের পর এবার নতুন আতঙ্ক হয়ে আসমাজিক কার্যকালাপ চালিয়ে যাচ্ছে এ ভাসমান পতিতারা। সন্ধ্যার পর থেকেই মাত্রারিক্ত সাজগোজ করে রোগী দেখার নাম করে হাসপাতালের ক্যাম্পাস এলাকায় খদ্দেরের খোজেঁ বের হয় তারা। খদ্দের যোগাড় হলে তারা চলে যায় হাসপাতালের নির্জন স্থানে।
আবার কেউ-কেউ রিক্সায় উঠে চলে যায় খদ্দেরদের বাসায় কিংবা নির্দিষ্ট আবাসিক হোটেলে। আবার কখনো গ্রামগঞ্জ থেকে আসা সহজ-সরল সেবা প্রত্যাশিরা তাদের খপ্পড়ে নিংস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছেন। আবার কেউ-কেউ লজ্জায় সব নিরবে সহ্য করছেন। সম্প্রতি একজন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এক রমণীকে নিয়ে সদর হাসপাতালের একটি নির্জন স্থানে আমোদ ফুর্তিতে লিপ্ত হলে ওই রমনী তাকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ফাঁসিয়ে ১ লাখ টাকা দাবী করে। ওই সদস্য সরকারী চাকরি হারানোর ভয়ে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে রফা-দফা করেন। অহরহ এরকম বহু অভিযোগ রয়েছে এ দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। হারুন মিয়া নামে রিক্সা চালক বলেন, ‘আমি নিয়মিত হাসপাতালের গেইটে থাকি, এখান থেকে তাদের (পতিতাদের) নিয়ে শহরের বিভিন্ন হোটেল, রুমে এবং গোপন আস্তানায় নিয়ে যাই। আবার কাজ শেষ হলে তাদের (পতিতাদের) নিয়ে আসি। এতে আমি ৫০/১০০ টেকা বেশী পাই। তবে এতে আমার কোন দোষ নাই, আমার কাজ আমি করি। পেটের দ্বায়ে রিক্সা চালাই’। গতকাল বুধবার রাত ৮ টায় সরেজমিনে গিয়ে সদর হাসপাতাল গেইটে এ দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। এ প্রতিনিধি তাদের খদ্দেরের সাথে দরখসাখসির ছবি তুলেতে গেলে ক্যামেরা দেখে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তত্ত্ববধায়ক রতিন্দ্র চন্দ্র দেব জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর